মোঃ জাকিউর রহমান, ঢাকা প্রতিনিধি,

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী জুড়েই ছিলো ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ছাত্রলীগের নানান আয়োজন। হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগের নেতৃত্বে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃতি, ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট, আলপনা আকাঁ, ভাষা শহীদের স্মৃতিফলক স্থাপন সহ নানান কার্যক্রম চলে।

গতকাল মাসের শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় “মাতৃভাষা দিবস সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২২ইং ও ভাষা দিবস ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা ২০২২ইং” এর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।

পুরষ্কারপ্রাপ্তরা হলেন-

ভাষা দিবস ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা ২০২২ এর একক

চ্যাম্পিয়ন আসাফ উদ দৌল্লা কাকন, রানার্সআপ এনায়েত এইচ মনন।

দ্বৈত- চ্যাম্পিয়ন রাতুল হাসান নাঈম, আব্দুল কাদের অয়ন, রানার্সআপ রকিব হাসান কৌশিক, মিজবাহ আহমেদ।

উপস্থিত রচনা লিখন প্রতিযোগিতাঃ-

বিষয়ঃ রাষ্ট্রনায়ক শেখ মুজিব (১৯৭২-১৯৭৫)

প্রথম স্থান পিয়াস মাহমুদ, প্রযুক্তি বিভাগ (২০১৮-১৯), দ্বিতীয় স্থান মাহবুবুল হাসান, ভূতত্ত্ব বিভাগ (২০১৯-২০), তৃতীয় স্থান মাহফুজার রহমান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ (২০১৭-১৮)।

উপস্থিত বক্তৃতা-

বিষয়ঃ ভাষা আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু

প্রথম স্থান সাল্লাল হোসেন ফার্মেসী বিভাগ (২০১৮-১৯), দ্বিতীয় স্থানটি পিয়াস মাহমুদ তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ(২০১৮-১৯), তৃতীয় স্থান শাফিন উজ জামান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ (২০১৭-১৮)।

কবিতা আবৃতি-

প্রথম স্থান মাহফুজার রহমান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ (২০১৭-১৮), দ্বিতীয় স্থান পিয়াস মাহমুদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ (২০১৮-১৯), তৃতীয় স্থান সাল্লাল হোসেন, ফার্মেসী বিভাগ (২০১৮-১৯)

জ্ঞান জিজ্ঞাসা

প্রথম স্থান শাফিন উজ জামান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ (২০১৭-১৮) ২য় স্থান শেখ মেহেদী হাসান আরএমই (২০১৬-১৭), ৩য় স্থান ইমামুর রশিদ, সমুদ্রবিজ্ঞান (২০১৭-১৮), ৪র্থ স্থান মাহফুজার রহমান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ (২০১৭-১৮)।

জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ ইসতিয়াক এম সৈয়দ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ পিয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গাজিউর রহমান রাজা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লাবীবুজ্জামান মুস্তাবীন।

 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুবিন ইবনে হাসান ও বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ অমর একুশে হলের বিভিন্ন স্তরের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডঃ ইসতিয়াক এম সৈয়দ বলেন -“অমর একুশে হল তার একটি আবেগের জায়গা। অমর একুশে হল ছাত্রলীগ সভাপতি এনায়েত এইচ মনন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ এই কম সময়ে ভাষা দিবসসহ বিভিন্ন যে আয়োজনগুলো করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। শিক্ষার্থী বান্ধব যে দাবি-দাওয়া তারা প্রকাশ করছে তা শুনে তিনি মুগ্ধ। তিনি তার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা তিনি করে যাবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাদ্দাম হোসেন বলেন-“এ ধরনের আয়োজন নিঃসন্দেহে ছায়া শিক্ষার্থীদের মনে আবেগের সৃষ্টি করবে। তিনি অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমার বিশ্বাস অমর একুশে হল ছাত্রলীগ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এমনভাবে কর্মকান্ড পরিচালিত করতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের মনে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা জন্মায়। তিনি সিক্রেট ডকুমেন্টস এর নানান উদ্ধৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গাজিউর রহমান রাজা তার বক্তব্যে বলেন- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ দুটির মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অমর একুশে হলের এ মাসব্যাপী আয়োজন নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের মনে একটি আলাদা আবেগ তৈরি হবে।”

এনায়েত এইচ মনন তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে মাসব্যাপী কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন এবং সবার এমন সহযোগিতায় আগামীদিনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এবং তিনি সবাইকে নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য যা যা করা দরকার তা করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

ইমদাদুল হাসান সোহাগ জানান, তারা সবাই মিলে এমন আয়োজন বারবার করার চেষ্টা করবেন এবং শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে ও মনোবল ধরে রাখতে সর্বোচ্চ কাজ করে যাবে।

পরে সবাই বিজয়ী একজনের কবিতা আবৃতি উপভোগ করেন।